সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ধারাম হাওরে আজ সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় নূরুল ইসলাম নামের এক কৃষকের বোরো জমির ধান কেটে দেওয়া হয়েছে। আাগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকায় হাওরের পাকা ধান দ্রত কেটে ফেলার লক্ষ্যে কাটলে ধান,মিলবে ত্রাণ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন নানা শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষজন নিয়ে কৃষকের পাকা ধান কাটার এই উদ্যোগে নেন। ধান কাটার কাজে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) আবু তালেব, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস, পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম সোহাগ,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান,সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ,আনিসুজ্জামান মানিক,সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন রানা,ইসহাক আহমেদ,মোবারক হোসাইন,সোহান আহমেদ, ইউপি সদস্য হক্ক মিয়া প্রমুখ ।এ উপজেলায় ৩১হাজার ৭২০হেক্টর বোরো জমির মধ্যে সোমবার পর্যন্ত এ উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৫হাজরা ৭৯০হেক্টর বোরো জমির ধান কাটা হয়েছে।
ইউএনও আবু তালেব বলেন, আগাম বন্যা হতে পারে। তাই হাওরের পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকেরা কেটে ফেলেন সেজন্য তাঁদেরকে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন নিয়ে কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার কাজে আমরা অংশ নিয়েছি। এ ছাড়া এখানকার ১০টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরাও প্রশাসনের সঙ্গে একাত্মতা পোষন করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন নিয়ে এখানকার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটার কাজে অংশ নিয়েছেন। কাটলে ধান মিলবে ত্রাণ এই কর্যক্রমের অংশ হিসেবে ওইদিন ধান কাটার কাজে অংশ নেওয়া ২০০জন দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে ৩০০করে টাকা, একটি সাবান,এক বোতল বিশুদ্ধ পানি ও এক প্যাকেট বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া যারা ভাসমান, কমর্হীন ব্যাকার রয়েছেন তাঁরা যদি কৃষকের সঙ্গে হাওরের ধান কাটার সঙ্গে যুক্ত হলে তাঁদেরকে সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে তালিকা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বলা হয়েছে।#
মোবারক হোসাইন